স্বাধীনতার পরে ভারতে ভাষার ভিত্তিতে রাজ্য পুনর্গঠন সম্পর্কিত সমস্যা কি ব্যাপক আকার ধারণ করে ।এ সম্পর্কে তথ্য অনুসন্ধানের জন্য ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস 1948 খ্রিস্টাব্দে এস কে ধরে নেতৃত্বে গঠিত ভাষাগত রাজ্য কমিশন রাষ্ট্রের বিপক্ষে মত প্রকাশ করলে সমগ্র দেশ জুড়ে বিক্ষিপ্ত ভাবে আন্দোলন শুরু হয়। 1952 খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণ ভারতে ভাষার ভিত্তিতে রাজ্য পুনর্গঠন এর জন্য আন্দোলন শুরু হলে তেলেগু গান্ধীবাদী নেতা শ্রীরামালু মাদ্রাজের 11 টি জেলা নিয়ে পৃথক অন্ধপ্রদেশ গঠনের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেন।1952 খ্রিস্টাব্দে 15 ডিসেম্বর তার মৃত্যু ঘটলে তেলেগু ভাসি জেলা গুলিতে দাঙ্গা শুরু হয় ।তাই 1952 খ্রিস্টাব্দে 16 ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা পৃথক অন্ধপ্রদেশ গঠনের সুপারিশ করে। এই অবস্থায় রাজ্য পুনর্গঠন এর বিষয়টি বিবেচনার উদ্দেশ্যে 1953 খ্রিস্টাব্দের 22 ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আলীর সভাপতিত্বে এবং কে এম পানিক্কর ও হৃদয়নাথ কুঞ্জুরুর সহযোগিতায় একটি কমিশন গঠিত হয়। এই কমিশন 1955 খ্রিস্টাব্দে 30 সেপ্টেম্বর তার রিপোর্ট পেশ করে। এই কমিশনের সুপারিশ গুলি সামান্য রদবদল করে 1956 খ্রিস্টাব্দে রাজ্য পুনর্গঠন আইন পাস করে ।এই আইন অনুযায়ী রাজ্যগুলির ভাষা ভিত্তিক বিন্যাস শুরু হলে ভারতকে 14 টি অঙ্গরাজ্য এবং 6 টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়।
রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন ও আইন (1953 - 1956)
স্বাধীনতার পরে ভারতে ভাষার ভিত্তিতে রাজ্য পুনর্গঠন সম্পর্কিত সমস্যা কি ব্যাপক আকার ধারণ করে ।এ সম্পর্কে তথ্য অনুসন্ধানের জন্য ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস 1948 খ্রিস্টাব্দে এস কে ধরে নেতৃত্বে গঠিত ভাষাগত রাজ্য কমিশন রাষ্ট্রের বিপক্ষে মত প্রকাশ করলে সমগ্র দেশ জুড়ে বিক্ষিপ্ত ভাবে আন্দোলন শুরু হয়। 1952 খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণ ভারতে ভাষার ভিত্তিতে রাজ্য পুনর্গঠন এর জন্য আন্দোলন শুরু হলে তেলেগু গান্ধীবাদী নেতা শ্রীরামালু মাদ্রাজের 11 টি জেলা নিয়ে পৃথক অন্ধপ্রদেশ গঠনের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেন।1952 খ্রিস্টাব্দে 15 ডিসেম্বর তার মৃত্যু ঘটলে তেলেগু ভাসি জেলা গুলিতে দাঙ্গা শুরু হয় ।তাই 1952 খ্রিস্টাব্দে 16 ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা পৃথক অন্ধপ্রদেশ গঠনের সুপারিশ করে। এই অবস্থায় রাজ্য পুনর্গঠন এর বিষয়টি বিবেচনার উদ্দেশ্যে 1953 খ্রিস্টাব্দের 22 ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আলীর সভাপতিত্বে এবং কে এম পানিক্কর ও হৃদয়নাথ কুঞ্জুরুর সহযোগিতায় একটি কমিশন গঠিত হয়। এই কমিশন 1955 খ্রিস্টাব্দে 30 সেপ্টেম্বর তার রিপোর্ট পেশ করে। এই কমিশনের সুপারিশ গুলি সামান্য রদবদল করে 1956 খ্রিস্টাব্দে রাজ্য পুনর্গঠন আইন পাস করে ।এই আইন অনুযায়ী রাজ্যগুলির ভাষা ভিত্তিক বিন্যাস শুরু হলে ভারতকে 14 টি অঙ্গরাজ্য এবং 6 টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়।